আয়্যারল্যান্ডে জন্ম হলেও ভারতবর্ষের জন্য নিজের প্রাণকে আত্মোৎসর্গ করেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। ভারতীয় স্বাধীনতা ও ভারতীয় সনাতনী হিন্দু ধর্মের চিন্তা চেতনায় অদ্ভূত মন্থন করে নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। সক্রিয় হিন্দু ধর্ম ও ভারতীয় সংস্কৃতি ধর্ম – দর্শন – আর্ট শিল্প- সাহিত্য বিষয়ের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল নিবেদিতার।
১৮৬৭ সালে অ্যায়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন ধর্ম যাজক। মাতৃভূমি অ্যায়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা সংগ্রাম, রুশ বিপ্লব এবং ফরাসী চিন্তাবিদ পেস্তালোৎসি দ্বারা প্রথম জীবনে প্রভাবিত ছিলেন। রাস্কিন স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এক দিকে ধর্ম চেতনা এবং অপর দিকে স্বাধীনতা বিপ্লববাদ দুটো দ্বারাই খুব প্রভাবান্বিত ছিলেন নিবেদিতা।
১৮৯৫ সালে নভেম্বর মাসে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে লন্ডনে এক ধর্ম সভায় আলাপ হয় এবং স্বামীজীর জ্ঞান, পাণ্ডিত্য আধ্যাত্মিক চেতনায় প্রভাবিত হন। ১৮৯৮ সালে ভারতে আসেন নিবেদিতা এবং ঐ বছরেই স্বামীজী ভগিনী নিবেদিতাকে ব্রহ্মচর্যব্রতে দীক্ষা দেন। নতুন নামকরণ ‘নিবেদিতা’ স্বামীজী করেন। ঐ বছর প্লেগ রোগের মহামারীতে কলকাতা সহ বঙ্গদেশ আচ্ছন্ন ছিল। নিবেদিতা সর্বস্ব নিয়োগ করেন জন মহামারী কবলিত জনসেবাতে। নারী শিক্ষার জন্য বিশেষ স্কুল নির্মাণ করেন যা পরবর্তীতে রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা বালিকা নামে খ্যাত হয়।
স্বামীজী ১৯০২ সালের ৪ঠা জুলাই দেহ ত্যাগ করার পর নিবেদিতা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রত্যক্ষ বিপ্লববাদের সঙ্গে জড়িত হন। বঙ্গের স্বদেশী স্বাধীনতার বিশেষ চেতনার প্রচার ও প্রসার ঘটান। ঋষি অরবিন্দ, বারিণ ঘোষ, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল নিবেদিতার।
শুধু স্বদেশ স্বাধীনতার আন্দোলনের সঙ্গে নয় ভারতের সনাতনী সংস্কৃতি ঐতিহ্য সংস্কার সাহিত্য শিল্পকলা সঙ্গীত ভাস্কর্য চিত্র শিল্পের প্রতি বিশেষ আত্মিক যোগ ছিল। ইংল্যান্ডের নবচেনা নবজাগরণের ঢেউকে বাঙ্গালার চিন্তা চেতনায় ভারতীয় অনুকুল শিক্ষা ও সংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিস্তারে বিশেষ ভাবে সচেষ্ট ছিলেন। পাশাপাশি ভারতীয় প্রাচীন ধর্ম দর্শন সাহিত্য সংস্কৃতির গভীর আধ্যাত্মিক ভাবনাকে সংরক্ষণ এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জাগরণের বিশেষ সচেষ্ট ছিলেন নিবেদিতার প্রাণ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনী ঠাকুর, নন্দলাল বসুর প্রতি বিশেষ অনুরিক্ত ছিলেন।
তাঁর রচিত কিছু বই হল –
‘দ্যা ওয়েব ইন্ডিয়ান লাইফ’, ‘কালী দা মাদার’, ‘রিলিজিয়ান এন্ড ধর্ম, শিব এন্ড বুদ্ধ’, ‘নোটস ওফ সাম ওয়ান্ডারিং উইথ স্বামী বিবেকানন্দ’, ‘অ্যাগ্রেসিভ হিন্দুইজেম’।
বইগুলোর শিরোনাম দেখে বোঝা যায় ভগিনী নিবেদিতা ভারতীয় সনাতনী আধ্যাত্ম বাদের দ্বারা কতটা পড়াশুনা একাত্ম বোধ প্রীতি ছিল। শুধু নিজে জেনে বোঝার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন নি আত্ম মন্থন করে ভারতীয় জীবনবোধের কথা ভারতীয়দের জন্য সমর্পণ করে গেছেন নিবেদিতা ।
আজকের দিনেও নিবেদিতার নিবেদিত প্রাণ কতটা সক্রিয় ছিল তা তাঁর ‘অ্যাগ্রেসিভ হিন্দুইজেম’ বইতে খুব স্পষ্ট। এই বই এর কিছু বিষয় উপস্থাপন করে ভগিনী নিবেদিতার প্রতি জন্ম দিনে বিশেষ শ্রদ্ধা তর্পণ করবো।
নিবেদিতা একজন বিদেশিনী হলেও ভারতীয় সনাতনী হিন্দুত্ববোধ এবং হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদকে গভীর ভাবে অন্বেষণ করতে সক্ষম ছিলেন। সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতি ও ধর্মের চলনকে উপলব্ধি করেছেন। নিষ্ক্রিয় হিন্দুত্ববোধ থেকে সক্রিয় হিন্দুত্ববোধের কথা বলেন। সক্রিয় হিন্দুত্ববোধ হল আত্মরক্ষা, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই, ব্যক্তি মুক্তির সঙ্গে জগৎ মুক্তির কথা, অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। এই জাতীয়বোধ স্বাধীনতা ধর্ম ও বিপ্লবকে একাত্ম করে দিয়েছে।
ইংরেজি শিক্ষা শুধু নয় দেশীয় আঞ্চলিক ভাষায় ভারতীয় মনীষীদের জীবনবোধ এবং আধ্যাত্মিক চেতনার পরিস্ফুট ঘটানোর কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে ভারতীয় বেদ – উপনিষদ- পুরাণ মহাকাব্য রামায়ণ – মহাভারতের ইতিহাস চর্চার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। হিন্দু ধর্মের তাৎপর্য কর্ম যোগ, সংযম ও বিনয়। কিন্তু করুনা বা ক্ষমা কখনো দুর্বলতা বা কোন রকম নিষ্ক্রিয়তার নাম যেন না হয় সেই কথাও স্পষ্ট বলেছেন নিবেদিতা।
চরিত্র গঠনই হল ধর্ম দর্শন তথা তত্ত্ব কথার মূল ভাবাদর্শ। ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কারে সক্রিয় হিন্দুত্ব বোধ বলতে বোঝায় নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে দুর্বলতার বিরুদ্ধে সক্রিয়তা, আত্মরক্ষার গতানুগতিক দুর্বলতার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বিশেষ বিপ্লববাদী চেতনা। এই যে সক্রিয় হিন্দুত্ববোধ তাকেই হিন্দুত্ববাদে উত্তীর্ণ করেন ভগিনী নিবেদিতা। ভারতীয় সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতিতে চরিত্রের বলে শুকদেব রাজা হয়েও ভিক্ষুক এবং সম্মানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আজকের যুগে হিন্দু সমাজের মধ্যে কেবল মাত্র আত্মরক্ষা দরকার নেই সেই সঙ্গে আত্মনির্ভর সক্ষম এবং নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে চিন্তা চেতনায় বিপ্লবের আগ্রাসী বা আকাঙ্খার প্রযোজন। আর এটাই হিন্দুত্ববাদের যথার্থ সক্রিয়তা। আগামীদিনে বঙ্গদেশ তথা ভারতবর্ষ এই পথেই অগ্রসর হতে চলেছে। তাই নিবেদিতার প্রজ্ঞা বর্তমান সময়েও প্রাসঙ্গিক।
নিবেদিতা বুঝেছিলেন ইউরোপীয় বিদেশী ভাবাদর্শকে অনুকরণ করলে যথার্থ ভারতীয় বা হিন্দুত্ববোধের জাগরণ হবে না। ভারতীয় সংস্কৃতির অভিব্যক্তি ঘটাতে হবে। হিন্দুধর্মের রীতিনীতি চরিত্র স্রষ্টার বিশেষ রূপ। ভারতীয় ঐতিহ্যের শুধু সুরক্ষা নয় তাকে আত্মীকরণের উপর জোর দেন।
ভগবান বিষ্ণুর দশাবতার পরিপূর্ণ মানব জীবন ও সভ্যতা বিবর্তনের প্রতীক। মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, ও নৃসিংহ অবতারের স্তরের পর হল বামন। বামন হল ক্ষুদ্র মানব। পরশুরাম এবং রাম অবতার হলেন মানব সভ্যতার ক্ষত্রিয় রূপ। বুদ্ধ হলেন মানবতার উৎকর্ষ প্রেম ও করুণার প্রকাশ। কলকী অবতার হল মহত্তর বিবর্তনের ভবিষ্যতের মার্গ দর্শন। এই ধর্ম ও দর্শনকে জগৎ জীবন তথা বেঁচে থাকার অভিপ্রায় তৈরী করে ব্যক্তি চরিত্র তথা পূর্ণ মানব তৈরী করে।
সক্রিয় হিন্দুত্ববোধের মধ্যে বিবেক হল শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক লক্ষণ। ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরাজয়কে সঠিক ভাবে পরিমাপ প্রয়োজন। বিবেক এবং নৈতিকতার চৈতন্যে অগ্নি সংযোগ করতে হবে। নিবেদিতা ১৮৫৮ সালের মহাবিদ্রোহকে চেতনার সম্পূর্ণ আত্মীকরণ বলেছেন। বর্তমানে ভারতে ধর্মীয় আধ্যাত্মিক চেতনায় আরবের সংস্কৃতি চীনের কমিউনিস্ট সংস্কৃতি এবং ইউরোপের খ্রীষ্ট সংস্কৃতির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় হিন্দুত্ববোধের আরেকবার আধুনিক চেতনার সম্পূর্ণ আত্মীকরণ এবং অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটানো প্রয়োজন। রাজনৈতিক স্বাধীনতা হয় তো ভারতবর্ষে আছে কিন্তু বহিরাগত ইউরোপ ও যবন সংস্কৃতি আমাদের ভারতীয় ঐতিহ্য ও হিন্দুত্ববোধের চিন্তা চেতনায় আগ্রাসী মনোভাব সৃষ্টি করে চলছে তাই হিন্দুত্ববোধের কেবল আত্মরক্ষা নয় চিন্তা চেতনা সংস্কারে আধ্যাত্মিক বিপ্লবের মাধ্যমে সক্রিয় হিন্দুত্ববোধের সম্পূর্ণ আত্মস্থ ও আত্মীকরণ প্রয়োজন। আর তা হলেই ভগিনী নিবেদিতার নিবেদিত প্রাণ আরও সমৃদ্ধ হবে।
ভারতবর্ষ এমন এক দেশ বা ভূখণ্ড যা অন্যদেশের বা ভূখণ্ড কখনও বলপূর্বক দখল করেনি। ভারতের ইতিহাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস মনে না রাখতে পারলেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রত্যেক ভারতীয়কে ভারতীয় হিন্দু জাতির বীরত্ব সম্পর্কে অবগত করাতে হবে। সমুদ্রতল, নদীর বালিকা, অরণ্য, বিস্তীর্ণ জলাশয়, সর্বত্র স্তরে স্তরে ভারতীয় সংস্কৃতি সঞ্চিত হয়ে আছে। অযোধ্যা, ইন্দ্রপ্রস্থ, পাটুলী পুত্র, উজ্জয়নী, দিল্লী, কাঞ্জীভরম, অমরাবতীর কথায় নিবেদিতা ভারতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংস্কৃতির কথা বলেন। প্রাদেশিক ভাষার সাহিত্য চৰ্চা, সাহিত্যের বাণীরূপের অতীত বর্তমান রূপ এবং ভবিষ্যতের আভাষ বিষয়ে চর্চার কথা বলেন। মাতৃ ভাষা ও নারী শিক্ষার কথা বলেন ভগিনী নিবেদিতা ।
ভারতের জন্য ভগিনী নিবেদিতা ইউরোপের ভাবধারা অনুকরণকে সঠিক পন্থা বলে মনে করেন নি। ভারতীয় জনমানসে কাছে পৌঁছাতে ভারতীয় শিল্প ভারতীয় ভাষা ভারতীয় চিত্রের কথা বলেন। ভারতের জীবন বোধের অনুরূপ ভাবনার গুরুত্ব দেন।
ব্রহ্মচর্য শুধু দেহ কেন্দ্রীয় বা সন্ন্যাসীর জন্য নয়। ব্রহ্মচর্য নিরাসক্ত দিক যা মন ও আত্মাকে সক্রিয় রাখে স্বতন্ত্র রাখে। বিবাহ মনের চিন্তার বিনিময় বন্ধুত্ব হওয়াই একমাত্র কাম্য। বীরের ব্রহ্মচর্য হল অপরের কল্যাণ সাধনে। চিন্তা ও জ্ঞান তথা প্রজ্ঞার পূর্ণতা হল ব্রহ্মচর্য। ভগিনী নিবেদিতা বলেছেন আরও সন্ন্যাস মানে শুধু গৈরিক বসন নয় পরের হিতসাধন করা। জীবনকে অগ্নির সমতুল্য করে প্রাপ্তি – অপ্রাপ্তি, জয় – পরাজয়, সুখ-দুঃখ সব কিছুকে আসক্তবিহীন হয়ে গ্রহণ করতে হবে। হিন্দু ধর্ম সর্বদা বজ্রের ন্যায় কঠিন, অহমকে নস্যাৎ করার কথা বলে, ব্রহ্মচর্য ব্রহ্মচারীর ন্যায় কঠোর উদার হৃদয় এবং পরার্থপর।
নিবেদিতা একজন যথার্থ সনাতনী ভারতীয়। তাঁর লেখা পড়াশুনা ভাবাদর্শ হয়তো শুধু শব্দ দিয়ে বিশ্লেষণ করা সম্ভব পর নয়। তিনি এক বৃহৎ চৈতন্য। ১৯১১ সালের ১৩ ই অক্টোবর দার্জিলিং রায় ভিলাতে কঠিন আমাশারোগে আক্রান্ত হয়ে দেহ ত্যাগ করেন।
একজন বিদেশিনী স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভারত মাতার স্বাধীনতা, আধ্যাত্ম বোধ, হিন্দুত্ববোধের ভাবনায় এত গভীর ছাপ রেখে গেছেন যা আজও প্রাসঙ্গিক। হয়তো আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্ত ৭২০ সালে বীন কাশেম থেকে শুরু করে মহম্মদ আলি জিন্নাহর মতন মানুষ শুধু লুটপাট আর বিভাজনের রাজনীতি করেছে। ভারতীয় হয়ে উঠতে পারে নি। তাদের উত্তর পুরুষদের মধ্যেও ভারতীয় হওয়ার যথার্থ চেতনা নেই। অপর দিকে কমিউনিজেমের ছাড়পোকা ভারতীয় সমাজে চিন্তা চেতনার জগতে গত কয়েক দশক ধরে ভারতীয় সংস্কৃতি ঐতিহ্যের বন্টন করে বিভাজনের সাংস্কৃতিক আবহ নির্মাণের অপচেষ্টা করছে। সনাতনী ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতি তথা হিন্দুত্ববোধের জাগরণই বর্তমান সময়ে একান্ত যুগ চাহিদা। এই পথেই ভারত বিশ্ব গুরুর আসনে অধিষ্ঠিত হবে। তাই ভগিনী নিবেদিতা আমাদের কাছে আদর্শ দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অভিব্যক্তির মাধ্যমে তুলে ধরাটাই তাঁর জন্মদিনে বিশেষ প্রাপ্তি।ভারতবর্ষের জন্য এই নিবেদিত মহৎ প্রাণকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম।
তথ্য সূত্র
১) অ্যাগ্রেসিভ হিন্দুইজেম : সিস্টার নিবেদিতা, ডক্টর ইন্দ্রজিৎ সরকার, বৌদ্ধিক বিভাগ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, কলকাতা, প্রকাশ ২০১০।
২) লোকমাতা নিবেদিতার বাণী : ভারতীয় শিক্ষণ মন্ডল, কলকাতা, প্রকাশ – ২০০৫